দেশে আরও তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জাতীয় সংসদে আলাদা তিনটি বিল তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ বিল’, লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল এবং সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে তোলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে বিল তিনটি পরীক্ষা করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলগুলোর উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটর-এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা অতীব প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।
তবে, তিনটি বিলগুলো নিয়ে সংসদীয় কমিটির আধাঘণ্টার বৈঠকের পরই কমিটি বিলগুলো পাসের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিল তোলার দেড় ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, আধ ঘন্টার মত বৈঠকে তিনটি বিলটির বিষয়ে জাতীয় সংসদে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদানের সুপারিশ করে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সংসদীয় কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিলটি ওঠার পরপরই ওই বৈঠকের সময় দুই ঘন্টা এগিয়ে এনে সন্ধ্যা ৬টায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সংসদীয় কমিটির সদস্যদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানো হয় বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।
কমিটির সভাপতি সাগুপতা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফজলে হোসেন বাদশা, মো. আবদুস সোবহান মিয়া এবং এম এ মতিন অংশগ্রহণ করেন।